মক্কা ও মাদীনাহ সংবলিত হেজাজ উপত্যকা হচ্ছে আল্লাহর প্রিয়তম রাসূল (সাঃ) এঁর পবিত্র মাতৃভূমি।
১৯২৪ সালের আগ পযন্ত পবিত্র হেজাজ উপত্যকার খেদমতের দায়িত্ব ছিলো উসমানীয়া খেলাফতের হাতে। ১৯২৪ সালে উসমানীয় খেলাফতের বিরুদ্ধে আরবদের বিদ্রোহ এবং পরবর্তী সময়ে নজদ উপত্যকার শাসক সাউদী রাজবংশ হেজাজ দখল করে, এবং আল্লাহর প্রিয়তম রাসূল (সাঃ) এঁর দানকৃত মুবারাক “জাজিরাতুল আরব” নাম পরিবর্তন করে, নাম রাখে ‘সাউদী আরব’!
ক্ষমতার উক্ত রদবদল শুধুমাত্র আরব বিশ্বের মানচিত্রেই নয়, সময়ের সাথে পরিবর্তন নিয়ে আসে পবিত্র হেজাজের অভ্যন্তরীণ চিন্তাধারা, শিক্ষাব্যবস্থা, সংস্ক্রিতি(Culture) সহ বিবিধ পর্যায়ে। যদিও সকলে নয়, কিন্তু মুসলিমদের অনেকে সময়ের ব্যবধানে এ নব্য আগত চিন্তাধারার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ে।
এসকল বিষয়ের বিস্তারিত প্রমাণভিত্তিক ইতিহাস নিয়ে লিখিত অসাধারণ একটি কিতাব “নজদ ও হেজাজের ইতিহাস”।
কিতাবটির মূল লেখক পাকিস্তানের বিখ্যাত আলিমে দ্বীন মুফতী মাওলানা আবদুল ক্বাইয়্যুম সাহেব।
কিতাবটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন “তারিখুন নাজদ ওয়াল হেজাজ” কিতাবের বাংলা অনুবাদ। মূল উর্দু কিতাব অনলাইনে এভেইলেবল রয়েছে ফ্রি।
কিতাবটিতে সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানী, আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী সহ উলামায়ে দেওবন্দ, মিশর, উসমানীয় সময়ের মক্কা মদীনাহ, সিরিয়া সহ বিস্বব্যাপী উলামা গণের বক্তব্য মাওজুদ আছে (৩য় অধ্যায়)।
★ক্ষমতার এ রদবদল নিয়ে অনেকের মাঝে রয়েছে কৌতুহল। অনেকে বিস্তারিত রূপে জানতে চায় এ ইতিহাস, কিন্তু নির্ভরযোগ্য সুকাঠামোসম্পন্ন কোনো কিতাব এ ব্যাপারে অনেকেই খুজে পান না। অনেকে আবার এ পুরো বিষয়টি সম্বন্ধে অজানা।
তাদের জন্য এ কিতাবটি হতে পারে জ্ঞানার্জনের অসাধারণ একটি মাধ্যম।
★কিতাবটিতে বিভিন্ন অধ্যায়ে পাবেন ওহাবী মতাদর্শের উতপত্তি ও যুগভিত্তিক পর্যালোচনা, উক্ত মতবাদের অনুসারীদের কর্মকান্ডের বিবরণ, তাদের নব-আবিষ্কৃত অস্বাভাবিক কিছু আকীদাহর বিবরণ।
★কিতাবটিতে আরো পাবেন নজদ ও ওহাবী চিন্তাধারা সম্বন্ধে উলামায়ে দেওবন্দ সহ ততকালীন বিশ্বের বড় বড় উলামায়ে কেরাম গণের অভিমত (৩য় অধ্যায়)।
Reviews
There are no reviews yet.