তাসাওউফ সম্রাট আলী আসগর ইবনে হোসাইন ইমাম যয়নুল আবেদীন রাদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহু

বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনার আলোকে মুসলিম উম্মাহর অভ্যন্তরে নৈতিক বিচ্যুতি পর্যবেক্ষণের পর আত্মশুদ্ধির লক্ষ্যে তাসাওউফ সাধনার নিমিত্তে স্বতন্ত্র জ্ঞানীয় ক্ষেত্র চালুর অপরিহার্যতা আহলে বাইতে রাসুল হযরত ইমাম যয়নুল আবেদীন (রা.) ব্যাপকভাবে উপলব্ধি করেন। কারবালা প্রান্তরে আহলে বাইতে রাসুল (দ.) হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)’র নির্মম পন্থায় শাহাদাত বরণের করুণ ঘটনাবলির প্রত্যক্ষদর্শী হযরত ইমাম যয়নুল আবেদীন (রা.) শুধু শোক-অনুতাপে দগ্ধ হননি বরং মুসলিম উম্মাহর সর্দার গোত্রের একশ্রেণির ব্যক্তিবর্গের কপটতা, ভণ্ডামি, মানসিক দুর্বলতা এবং সত্যের পক্ষে প্রত্যয়ের অভাব লক্ষ্য করে উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েন। কারণ এ ধরনের দুর্বল মনোবৃত্তিসম্পন্ন লোকদের মাধ্যমে সৎ সাহসী এবং দৃঢ়প্রত্যয়ী ন্যায়পন্থী উম্মাহ্ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। পবিত্র কোরআনের ঘোষণা, “তবে (যুদ্ধের সময়) বিশ্বাসীদের সকলের এক সাথে অভিযানে বের হওয়া সমীচীন নয়। প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একটি অংশ অবশ্যই যুদ্ধযাত্রায় বিরত থেকে আল্লাহ্ প্রদত্ত ধর্ম বিধান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান লাভে নিজেদের নিয়োজিত রাখবে। এ জ্ঞানীরাই যুদ্ধ থেকে ফিরে আসা যোদ্ধাদের নৈতিক সত্যজ্ঞানে সচেতন করে তুলবে। ফলে তারা অন্যায় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে”- (সূরা তওবা: ১২২) অনুযায়ী তিনি প্রধানত মানবজাতিকে নৈতিক প্রশিক্ষণ দানকে নিজের অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেন। জীবনী গ্রন্থে তাঁর এই কর্ম প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা আছে। আশা করি এই গ্রন্থটি অধ্যয়ন করে পাঠক উপকৃত হবেন।