ঐতিহাসিক হাররাহ এবং ইয়াজিদবাহিনীর মদিনা লুণ্ঠনের ইতিহাস

Original price was: ৳ 190.00.Current price is: ৳ 152.00.

Title ঐতিহাসিক হাররাহ এবং ইয়াজিদবাহিনীর মদিনা লুণ্ঠনের ইতিহাস
Writer ড. এ. এস. এম. ইউসুফ জিলানী
Publisher জিলানী প্রকাশনী
Edition জুলাই, ২০২৪
Number of Pages ৮০
ISBN 978-984-8012-13-3

ভূমিকা

ইমাম কুরতুবি বলেন, ইয়াজিদ বাহীনির বদবখত লোকেরা হাররাহ নামক স্থানে নিতান্ত নির্মমতা ও অবমাননার সাথে হাজারো মহাত্মা সাহাবীদেরকে শহীদ করে। তারা তিনদিন পর্যন্ত মসজিদে নববীর সম্মানহানিকর কাজে লিপ্ত থাকে। এ বর্বরবাহিনী ১২, ৪৯৭ জন লোককে হত্যা করে। নারী ও পুরুষ এ থেকে বাদ। তন্মধ্যে মুহাজির, আনসার, তাবেয়িন ও ওলামায়ে কেরাম ১৭০০, সাধারণ লোক ১০,০০০, হাফেজে কুরআন ৭০০, কুরায়েশ ৮০ জন।

এ লোমহর্ষক হত্যাকান্ড ছাড়াও তারা নানা প্রকার জুলুম অত্যাচার অনাচার ও ধৃষ্টতাপূর্ণ অপকর্মে লিপ্ত হয়। জেনার মতো ঘৃণ্য অপরাধ করে। বর্ণিত আছে যে, এ ঘটনার পর একহাজার মেয়ে অবৈধ সন্তান প্রসব করে। তারা মসজিদে নববীর অমার্জনীয় অবমাননা করে, এ পবিত্র স্থানকে ঘোড়ার আস্তাবলয়খানায় পরিণত করে, প্রিয় নবীর রওযাপাক ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থান রিয়াজুল জান্নাহকে ঘোড়ার পেশাব পায়খানায় কলুষিত করে।’ [সূত্র: ‘আত-তাষকেরাতু বেআহওয়ালিল মাওতা ওয়া উমুরিল আখিরাহ, পৃ. ১১৮৭]

ইসলামের ইতিহাসে যে সব নির্মম, মর্মান্তিক ও বর্বোরোচিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে তন্মধ্যে- হাররার ঘটনা বা হাররার যুদ্ধ অন্যতম। যদিও এটার প্রসিদ্ধি খুবই কম। কিন্তু এর ক্ষয়-ক্ষতি অকল্পনীয় ও অপূরণীয়। অনেকে এটা হাল্কা করে দেখার চেষ্টা করে। কেউ কেউ এটাকে তুচ্ছ ঘটনা মনে করে। আবার নবীবিদ্বেষী ও আহলে বায়ত বিদ্বেষী একটি গোষ্টি এটাকে ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। যার কারণে এর ইতিহাস সম্পর্কে অনেকে জানেনা। ইতিহাসের বইয়ে এ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন হাদিস ও ইতিহাসের কিতাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যদিও এ ঘটনার নির্মমতা, পরিণতি ও ক্ষয়-ক্ষতি

বিবেচনায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত লেখার প্রয়োজন ছিলো। তবে দুঃখের বিষয় হলো এ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা সম্বলিত কিতাব খুব কম রয়েছে। এর পরও আমি এ কিতাবে বিভিন্ন কিতাব থেকে বিশুদ্ধ তথ্য সংগ্রহ করে একত্রিত করে একটি বইয়ের রূপ দিতে চেষ্টা করেছি। সঠিক ও বিশুদ্ধ সূত্রের আলোকে বইটি রচনা করা হয়েছে। অথচ সাহাবায়ে কেরামের মুহাজির আনসার ও কুরাইশের সর্বশেষ জমাতের সকলকে শহীদ করে দেয়া হয়েছে এ যুদ্ধে। শীর্ষ তাবেয়ীন, আলেম ওলামা ও হাফেজে কুরআনদের শহীদ করা হয়।

এ কারণে এ যুদ্ধটি শুধু নিছক একটি ঘটনা নয়; বরং কারবালার ঘটনার পর দুনিয়া থেকে ইসলামকে মুছে দেয়ার এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার সর্বশেষ প্রচেষ্টা ছিলো ইয়াজিদের। মক্কা ও মদীনার অবমাননা, সাহাবায়ে কেরামের অবমাননা, নারী-শিশুদের নির্বিচার ও নিমর্মভাবে হত্যাসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা এ যুদ্ধের মাধ্যমে করা হয়নি। কিন্তু এরপরও ইয়াজিদের শেষ রক্ষা হয়নি; সে ধ্বংস হয়েছে। দুনিয়া থেকে তার নাম-নিশানা মুছে গেছে। সংক্ষিপ্ত হলেও এ বইটি থেকে হাররাহ্ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। বাংলাদেশ ইসলামিক রিসার্চ একাডেমী থেকে বইটি প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিলো। এবার রেযা একাডেমি বাংলাদেশ থেকে পুনঃরায় প্রকাশিত হলো।

যারা এতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তাঁদের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের অবদানকে ছোট করতে চাই না। সকলের প্রতি শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা দোয়া ও শুভকামনা রইলো।

পরিশেষে বইটির পাঠক ও বইয়ের প্রকাশনার সাথে সম্পৃক্ত সকলের প্রতি রইলো আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা।

ড. এ. এস. এম. ইউসুফ জিলানী

চেয়ারম্যান

রেযা একাডেমি বাংলাদেশ।

জুন-২০২৪ ইং

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ঐতিহাসিক হাররাহ এবং ইয়াজিদবাহিনীর মদিনা লুণ্ঠনের ইতিহাস”

Your email address will not be published. Required fields are marked *