নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.)

Original price was: ৳ 150.00.Current price is: ৳ 120.00.

Title নবী নন্দিনী

হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.)

Author
Translator
Copyright
Publisher
Edition দ্বিতীয় সংস্করণ: ১৫ রমজান ১৪৩৩ হিজরী; ২০ শ্রাবণ ১৪১৯ বঙ্গাব্দ; ৪ আগষ্ট ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ

প্রসঙ্গ কথা

নিঃসন্দেহে মহানবী হযরত মুহাম্মাদের (সা.) নিকট সর্বাধিক প্রিয়তম ব্যক্তিত্ব হলেন খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.)।

যাকে তিনি অত্যধিক স্নেহ মমতা এবং আধ্যাত্মিকতার পরশ দিয়ে প্রতিপালন করেছেন। আমরা যদি ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাব যে, ইসলামের প্রাথমিক যুগে আরবের কোরাইশ মুশরিকরা রাসুলকে (সা.) ব্যঙ্গ করে আবতার বা নির্বংশ বলে আখ্যা দিত। তখন সর্বশক্তিমান আল্লাহ মুশরিকদের মুখ চিরতরে বন্ধ করতে পবিত্র কোরআনের সূরা কাওসার নাযিলের মধ্য দিয়ে তাঁর বরকতময় জন্মের পূর্বাভাস এভাবে দান করেছেন,

“অবশ্যই আমরা তোমাকে কাওসার (বরকতময় প্রস্রবণ) দান করেছি। অতঃপর তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় কর এবং কোরবানী দান কর। নিশ্চয়ই তোমার শত্রুরাই হচ্ছে আবতার বা নির্বংশ।” [সূরা ১০৮, কওসার]

হযরত ফাতেমা যাহরার (আ.) প্রতি রাসুলুল্লাহর (সা.) অপরিসীম ভক্তি ও ভালবাসার বিষয়টি নিম্নের প্রসিদ্ধ হাদীসটিতে অত্যন্ত চমকপ্রদভাবে ফুটে উঠেছে,

“নিশ্চয়ই ফাতেমা আমার অস্তিত্বের অংশবিশেষ। যা কিছু তাকে কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয়। আর যা কিছু তাকে পীড়িত করে। তা আমাকেও পীড়িত করে।” [সহী বুখারী, খণ্ড নং ৩, হাদীস নং-৩৪৩৮, কিতাবুল মানাকিব।]

বস্তুতঃ তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল (সা.) হিসেবে স্বীয় কন্যার প্রতি যে ভক্তি নিবেদন করেছেন তা মানবেতিহাসে সত্যি নজীরবিহীন। তিনি যখন কোন সফরে যেতেন তখন সর্বশেষে যার থেকে বিদায় নিতেন সে ছিলেন হযরত ফাতেমা (আ.)।[ফাজায়েল-এ-খামছাহ।]

আর যখন কোন সফর থেকে ফিরে আসতেন তখন সর্বপ্রথম যার সাথে দেখা করতেন সেও হলেন হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.)।’ তিনি উপবিষ্ট অবস্থায় স্বীয় কন্যাকে দেখামাত্রই তাঁর সম্মানে দাঁড়িয়ে যেতেন এবং নিজ আসনে তাঁকে বসতে দিতেন। তিনি সুগভীর মমতায় কন্যাকে চুম্বনকালে বলতেন যে, আমি যখন ফাতেমাকে (আ.) চুম্বন করি তখন বেহেশতের সুগন্ধী অনুভব করি।

সুতরাং নারীকুলের শিরোমণি হযরত ফাতেমা যাহরার (আ.) প্রতি রাসুলুল্লাহর (সা.) এমন বিস্ময়কর ভক্তি ও স্নেহ তার অপরিসীম ফজিলত ও শ্রেষ্ঠত্বেরই প্রমাণ বহন করে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও রাসূলের (সা.) প্রাণপ্রিয় কন্যার মহিমান্বিত জীবনাদর্শ ও ফজিলত সম্পর্কে অধিকাংশ লোকই অজ্ঞ। অবশ্য এমনটির মূখ্য কারণ হচ্ছে এ প্রসঙ্গে বই-পুস্তকের বিশেষ অপ্রতুলতা। আর এমন ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার প্রয়াস নিয়েই বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি।

বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা যাহরার (আ.) মহিমান্বিত জীবনাদর্শ ও ফজিলত সম্পর্কে সমকালীন মুসলিম বিশ্বের অত্যতম পথিকৃৎ, বিশ্বখ্যাত মনীষী এবং বিশিষ্ট মারজায়ে তাক্বলীদ হযরত আয়াতুল্লল্লাহ আল উযমা সাইয়েদ মুহাম্মাদ হুসাইন ফাযলুল্লাহর (রহ.) কিছু জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা, বিবৃতি এবং লেখনীর ফসল। এ গ্রন্থে নবী নন্দিনীর (আ.) বরকতময় জীবনের বিভিন্ন শিক্ষামূলক দিকসমূহ পাণ্ডিত্যপূর্ণ ও সুনিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সময়োপযোগী এ বইটির অপরিসীম গুরুত্বের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রেখে আমরা সেটিকে সংকলিত আকারে বাংলা ভাষায় অনুবাদের প্রয়াস পেয়েছি। বইটি অনুবাদের ক্ষেত্রে যেসব ব্যক্তিবর্গ আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছেন এবং সহযোগিতা করেছেন তাঁদের প্রত্যেকের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

মহান আল্লাহর দরবারে অপরিসীম শুকরিয়া জ্ঞাপন করে সম্মানিত পাঠকবৃন্দের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, নবী নন্দিনী ফাতেমা যাহরা (আ.) বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। আমরা এই সংস্করণে ‘ইতিহাস ও হযরত ফাতেমা যাহরার (আ.) জীবনাদর্শের অপরিহার্যতা’ শীর্ষক একটি নতুন অধ্যায়ের সংযোজন করেছি। অধ্যায়টি বক্ষমাণ গ্রন্থকে আরও অধিক সমৃদ্ধ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

সুহৃদ পাঠক মহল যদি অত্র বইটি পাঠ করে উপকৃত হন তবেই আমাদের এ শ্রম সার্থক হবে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে তাঁর নির্দেশিত পথে চলার তৌফিক দান করুন, আমীন।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *