একথা সর্বজনবিদিত যে, রাসূল (সা.) যেমন আপাদমস্তক সত্যের ধারক বাহক ছিলেন তদ্রƒপ তাঁর যাবতীয় বাণী ও দিকনির্দেশনা, যা কেবল মুসলিম সমাজ নয়; বরং সর্বযুগে সকলের জন্য দিশারী তা-ও সর্বাঙ্গে সত্য। এ মহাসত্যের ব্যাপারে কোনো মুসলমানেরই বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই।
পৃথিবীতে মহানবী (স.)-এর বাণীসমূহের যে-সকল সংকলন রয়েছে তার সবগুলোতেই মুমিন-মুসলমানের ইহলৌকিক-পারলৌকিক জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় বিষয়ের দিকনির্দেশনা রয়েছে। তদ্রƒপ তাতে রয়েছে এ পৃথিবীর লয় হয়ে যাওয়া সম্পর্কে অতীব চমৎকার সব আলোচনা, যা ভবিষ্যৎ মুসলিম প্রজন্মের একমাত্র সম্বল হয়ে থাকবে। তাতে যেমন রয়েছে মুসলিমদের ওপর আসন্ন সীমাহীন দুঃখ-যাতনার কথা, তেমনই সেখানে রয়েছে কী করতে হবে সেই সংকটময় মুহূর্তে। আপনারা দেখে থাকবেন সকল সহীহ হাদিস গ্রন্থেই রয়েছেÑ
“মুসলিমদের সংকটময় মুহূর্তে আমার আহলে বাইত থেকে একজন ইনসাফকারী ইমামের আবির্ভাব হবে, তাঁর নাম হবে আমার নামে, তিনি ভূপৃষ্ঠে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করবেন। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, তাঁর সংবাদ শোনামাত্র তাঁর কাছে হাজির হবে এবং তাঁকে সাহায্য সহযোগিতা করবে।”
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আমার-আপনার সেই কাক্সিক্ষত, রাসূল (সা.) বর্ণিত সেই মহান ইমাম যাঁর উপাধি হলো ‘আল মাহদী’ তাঁকে নিয়েই এ বইটি লেখা হয়েছে। তাঁর আত্মপ্রকাশ ও আবির্ভাবোত্তর শাসনব্যবস্থা, নিয়মনীতি প্রভৃতি বিষয়ের ওপর সহীহ হাদিসের আলোকে এতে রয়েছে যথাসম্ভব নির্ভুল ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। আশা করি বইটি সবার ঈমানী শক্তি বৃদ্ধিকল্পে সহায়ক হবে।
হে আল্লাহ, আমাদের যুগের রাহবারের আত্মপ্রকাশকে দ্রুত ত্বরান্বিত করুন। তাঁর মিশনের ক্ষেত্র-প্রস্তুতকারী হিসেবে আমাদের কবুল করুন। -আমিন